যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা থেকে সাবধান, (পর্ব - ৩৩ ) || আল্লাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি || চিন্তা হচ্ছে ইবাদতের অর্ধেক ||
যঈফ ও জাল হাদিসের ফেতনা-৩৩
- সব কিছু খাওয়াই হচ্ছে অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত
- কম হাসি কম তৃপ্তি এবং ক্ষুধা দ্বারা হৃদয়কে পবিত্র করা
- যার খাবার ও হাসি কম তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ
- আল্লাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি
- নবুওয়াতের এক অংশ
- শ্বেত রোগের অধিকারী
- আত্নার সাথে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দ্বারা সংগ্রাম
- কর্মসমূহের সর্দার হচ্ছে ক্ষুধা
- চিন্তা হচ্ছে ইবাদতের অর্ধেক
- দুপুরের খাবার খেলে রাতের খাবার খেতেন না
- এরকম কথাকে অনেকেই সহীহ হাদিস বলে চালিয়ে দেন। আসলে এগুলোর কোনটিই সহীহ হাদিস নয়। কোনটি একেবারেই বানোয়াট, কোনটি মিথ্যা আবার কোনটি সহীহ হাদিসের অনুকরণে ভুল হাদিস- এসব হাদিসই যঈফ বা জাল হাদিস। যে কথা রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেননি, সেকথাকে রাসুলের (সা:) কথা বলে চালিয়ে দেওয়া চরম জালিয়াতি এবং অতি জঘন্য গুনাহের কাজ। আসুন যঈফ বা জাল হাদিসগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই এবং এসব হাদিসের ব্যবহার থেকে নিজেরা বিরত থাকি এবং অন্যদেরকে বিরত রাখি। আমাদের এই আর্টিকেলগুলো আপনাদের নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলে অনেকেই উপকৃত হবেন। আশা করি দ্বীনের স্বার্থে এগুলো শেয়ার করবেন।
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪১
সব কিছু খাওয়াই হচ্ছে অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত
২৪১। তুমি যে সব কিছুর আকাংখা কর সে সব কিছুকে খাওয়াই হচ্ছে অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত।
হাদীসটি জাল।
এটি ইবনু মাজাহ্ (২/৩২২), ইবনু আবিদ-দুনিয়া "কিতাবুল জু" গ্রন্থে (১/৮), আবু নু’য়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (১০/২১৩) এবং বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে (২/১৬৯/১) বিভিন্ন সূত্রে বাকিয়া ইবনু ওয়ালীদ হতে, তিনি ইউসুফ ইবনু আবী কাসীরের মাধ্যমে নূহ ইবনু যাকওয়ান হতে ... বর্ণনা করেছেন। আবুল হাসান সিন্দী ইবনু মাজার “হাশিয়াতে” বলেছেনঃ এ সনদটি দুর্বল। কারণ নূহ ইবনু যাকওয়ান দুর্বল হওয়ার বিষয়ে সকলেই একমত। দুমায়রী বলেনঃ এ হাদীসটি এমন একটি হাদীস যা তার উপর ইনকার (অস্বীকার) করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ইবনুল জাওযী “আল-মাওযূ’আত” গ্রন্থে (৩/৩০) দারাকুতনীর বর্ণনায় ইয়াহইয়া ইবনু উসমান হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়, ইয়াহইয়া মুনকারুল হাদীস, নূহও তার ন্যায়। সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/২৪৬) তার সমালোচনা করে বলেছেন ইয়াহইয়া তার যিম্মাদারী হতে মুক্ত। এ কারণে হাদীসটির জালের অপবাদ নূহ-এর উপরেই ন্যাস্ত হয়, যা সুয়ূতীর ভাষাতেই বুঝা যায়। তা সত্ত্বেও তিনি ইবনু মাজার বর্ণনায় "জামেউস সাগীর" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। মানবীও ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করে বলেছেনঃ এটির শাহেদ রয়েছে। কিন্তু এটি তার ধারণা। কারণ এটির একটি শাহেদও আমি পাইনি। যদি শাহেদ থাকত তাহলে সুয়ূতী তা “আল-লাআলী” গ্রন্থে উল্লেখ করতেন।
হাদীসটির সনদের মধ্যে অন্য সমস্যাও আছে যা ইবনুল জাওযী এবং সুয়ূতীর নিকট লুক্কায়িত রয়ে গেছে। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাহযীব” গ্রন্থে বলেছেনঃ ইউসুফ ইবনু আবী কাসীর বাকিয়ার সেই সব শাইখদের একজন যাদের পরিচয় জানা যায় না। যাহাবীর “আল-মীযান” গ্রন্থেও অনুরূপ বলা হয়েছে।
তৃতীয় আরো একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হচ্ছে হাদীসটি হাসান বাসরী হতে আন আন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি তাদলীস করতেন।
إن من السرف أن تأكل كل ما اشتهيت
موضوع
أخرجه ابن ماجه (2 / 322) وابن أبي الدنيا في " كتاب الجوع " (8 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (10 / 213) والبيهقي في " الشعب " (2 / 169 / 1) من طرق عن بقية بن الوليد حدثنا يوسف بن أبي كثير عن نوح بن ذكوان عن الحسن عن أنس مرفوعا
قال أبو الحسن السندي في حاشيته على ابن ماجه: وفي " الزوائد ": هذا إسناد ضعيف لأن نوح بن ذكوان متفق على تضعيفه، وقال الدميري: هذا الحديث مما أنكر عليه
قلت: وأورده ابن الجوزي في " الأحاديث الموضوعة " (3 / 30) من رواية الدارقطني عن يحيى بن عثمان حدثنا به، وقال: لا يصح، يحيى منكر الحديث وكذا نوح
وعقب عليه السيوطي في " اللآليء " (2 / 246) بقوله: قلت: يحيى بريء من عهدته، ثم ذكر رواية ابن ماجه من الطرق المشار إليها عن بقية ورواية الخرائطي في " اعتلال القلوب " من طريق أخرى عن بقية فانحصرت التهمة بإرشاد السيوطي بنوح بن ذكوان، وهذا يتضمن اعتراف السيوطي بوضع الحديث كما لا يخفى، ومع ذلك فقد أورده في " الجامع الصغير " برواية ابن ماجه
وأما قول المناوي في شرحه: وعده ابن الجوزي في الموضوع، لكن تعقب بأن له شواهد؟
فما أظنه إلا وهما، فإني لا أعلم له ولا شاهدا واحدا ولوكان معروفا لبادر السيوطي إلى إيراده في " اللآليء " متعقبا به على ابن الجوزي كما هي عادته! وكذلك لم يذكر له أي شاهد المنذري في " الترغيب " (3 / 124) والعجلوني في " الكشف " (1 / 255) والله أعلم
وفي الحديث علة أخرى خفيت على ابن الجوزي ثم السيوطي! قال الحافظ ابن حجر في " التهذيب ": يوسف بن أبي كثير هو أحد شيوخ بقية الذين لا يعرفون ونحوه في " الميزان " للذهبي
وثمة علة ثالثة وهي عنعنة الحسن وهو البصري فقد كان يدلس، فلا تغتر بما نقله المنذري عن البيهقي أنه صحح هذا الحديث، فإنه من زلات العلماء التي لا يجوز اقتفاؤها
ثم استدركت فقلت: لعل المناوي يشير إلى مثل هذا الحديث الآتي عن عائشة (رقم 257) ولكن هذا حديث آخر مخرجا ولفظا ومعنى، على أنه ضعيف السند جدا كما سيأتي بيانه هناك
إن من السرف أن تأكل كل ما اشتهيت موضوع - أخرجه ابن ماجه (2 / 322) وابن أبي الدنيا في " كتاب الجوع " (8 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (10 / 213) والبيهقي في " الشعب " (2 / 169 / 1) من طرق عن بقية بن الوليد حدثنا يوسف بن أبي كثير عن نوح بن ذكوان عن الحسن عن أنس مرفوعا قال أبو الحسن السندي في حاشيته على ابن ماجه: وفي " الزوائد ": هذا إسناد ضعيف لأن نوح بن ذكوان متفق على تضعيفه، وقال الدميري: هذا الحديث مما أنكر عليه قلت: وأورده ابن الجوزي في " الأحاديث الموضوعة " (3 / 30) من رواية الدارقطني عن يحيى بن عثمان حدثنا به، وقال: لا يصح، يحيى منكر الحديث وكذا نوح وعقب عليه السيوطي في " اللآليء " (2 / 246) بقوله: قلت: يحيى بريء من عهدته، ثم ذكر رواية ابن ماجه من الطرق المشار إليها عن بقية ورواية الخرائطي في " اعتلال القلوب " من طريق أخرى عن بقية فانحصرت التهمة بإرشاد السيوطي بنوح بن ذكوان، وهذا يتضمن اعتراف السيوطي بوضع الحديث كما لا يخفى، ومع ذلك فقد أورده في " الجامع الصغير " برواية ابن ماجه وأما قول المناوي في شرحه: وعده ابن الجوزي في الموضوع، لكن تعقب بأن له شواهد؟ فما أظنه إلا وهما، فإني لا أعلم له ولا شاهدا واحدا ولوكان معروفا لبادر السيوطي إلى إيراده في " اللآليء " متعقبا به على ابن الجوزي كما هي عادته! وكذلك لم يذكر له أي شاهد المنذري في " الترغيب " (3 / 124) والعجلوني في " الكشف " (1 / 255) والله أعلم وفي الحديث علة أخرى خفيت على ابن الجوزي ثم السيوطي! قال الحافظ ابن حجر في " التهذيب ": يوسف بن أبي كثير هو أحد شيوخ بقية الذين لا يعرفون ونحوه في " الميزان " للذهبي وثمة علة ثالثة وهي عنعنة الحسن وهو البصري فقد كان يدلس، فلا تغتر بما نقله المنذري عن البيهقي أنه صحح هذا الحديث، فإنه من زلات العلماء التي لا يجوز اقتفاؤها ثم استدركت فقلت: لعل المناوي يشير إلى مثل هذا الحديث الآتي عن عائشة (رقم 257) ولكن هذا حديث آخر مخرجا ولفظا ومعنى، على أنه ضعيف السند جدا كما سيأتي بيانه هناك
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪২
কম হাসি কম তৃপ্তি এবং ক্ষুধা দ্বারা হৃদয়কে পবিত্র করা
২৪২। তোমরা তোমাদের হৃদয়গুলোকে কম হাসি এবং কম তৃপ্তি দ্বারা জীবন্ত-জাগ্রত কর এবং ক্ষুধা দ্বারা সেগুলোকে পবিত্র কর, তাহলে তা ছোট এবং পাতলা হবে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
যেমনভাবে হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭৩) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬৩) অবহিত করেছেন।
أحيوا قلوبكم بقلة الضحك وقلة الشبع، وطهروها بالجوع تصغر وترق
لا أصل له
كما يفيده الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 73) ، والتاج السبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 163)
أحيوا قلوبكم بقلة الضحك وقلة الشبع، وطهروها بالجوع تصغر وترق لا أصل له - كما يفيده الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 73) ، والتاج السبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 163)
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৩
যার খাবার ও হাসি কম তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ
২৪৩। সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ সেই ব্যাক্তি যার খাবার ও হাসি কম এবং সন্তষ্ট থাকে সেই বস্তুতে যা তার লজ্জাস্থানকে আবৃত করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
أفضل الناس من قل طعمه وضحكه، ويرضى بما يستر به عورته
لا أصل له
قال الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) والتاج السبكي في الطبقات الكبرى
لم أجد له أصلا
أفضل الناس من قل طعمه وضحكه، ويرضى بما يستر به عورته لا أصل له - قال الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) والتاج السبكي في الطبقات الكبرى لم أجد له أصلا
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৪
আল্লাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি
২৪৪। কিয়ামতের দিবসে মর্যাদার দিক থেকে আল্লাহর নিকট তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি সেই যে তোমাদের মধ্যে দীর্ঘ ক্ষুধায় জড়িত এবং আল্লাহর ব্যাপারে দীর্ঘ চিন্তামগ্ন। আর কিয়ামতের দিবসে আল্লাহর নিকট ঘৃণিত তারাই যারা অধিক ঘুমায়, অধিক ভক্ষন করে এবং অধিক পান করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
এটিকে গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯৬) হাসান বাসরীর হাদীস হতে মুরসাল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯৬) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) বলেছেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
أفضلكم عند الله منزلة يوم القيامة أطولكم جوعا وتفكيرا في الله سبحانه، وأبغضكم عند الله عز وجل يوم القيامة كل نؤوم أكول شروب
لا أصل له
وإن ذكره الغزالي في " الإحياء " (3 / 96) من حديث الحسن البصري مرسلا مرفوعا
فقد قال الحافظ العراقي في " تخريجه " والتاج السبكي في " الطبقات " (4 / 162) : لم أجد له أصلا
أفضلكم عند الله منزلة يوم القيامة أطولكم جوعا وتفكيرا في الله سبحانه، وأبغضكم عند الله عز وجل يوم القيامة كل نؤوم أكول شروب لا أصل له - وإن ذكره الغزالي في " الإحياء " (3 / 96) من حديث الحسن البصري مرسلا مرفوعا فقد قال الحافظ العراقي في " تخريجه " والتاج السبكي في " الطبقات " (4 / 162) : لم أجد له أصلا
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৫
নবুওয়াতের এক অংশ
২৪৫। তোমরা পরিধান কর এবং অর্ধপেটে পান কর, কারণ তা হচ্ছে নবুওয়াতের এক অংশ।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) হাদীসটি উল্লেখ করে আমাদেরকে অবহিত করেছেন, হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
البسوا واشربوا في أنصاف البطون فإنه جزء من النبوة
لا أصل له
كما أفاده الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) والسبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 162)
البسوا واشربوا في أنصاف البطون فإنه جزء من النبوة لا أصل له - كما أفاده الحافظ العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) والسبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 162)
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৬
শ্বেত রোগের অধিকারী
২৪৬। তৃপ্তি সহকারে ভক্ষন শ্বেত রোগের অধিকারী করে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
এই হাদিসটি সেই সব বাতিল হাদিসগুলোর একটি যেগুলো দ্বারা গাযালী তার গ্রন্থ সমূহকে পরিপূর্ণ করে রেখেছেন। বিশেষ করে “আল-ইহইয়া” গ্রন্থকে। হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৭০) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬৩) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
إن الأكل على الشبع يورث البرص
لا أصل له
وهو من الأحاديث الكثيرة الباطلة التي شحن بها الغزالي كتبه، ولا سيما كتابه " الإحياء " وقد قال مخرجه الحافظ العراقي في هذا الحديث (3 / 70) : لم أجد له أصلا
وكذا قال السبكي عبد الوهاب في " الطبقات الكبرى " (4 / 163)
إن الأكل على الشبع يورث البرص لا أصل له - وهو من الأحاديث الكثيرة الباطلة التي شحن بها الغزالي كتبه، ولا سيما كتابه " الإحياء " وقد قال مخرجه الحافظ العراقي في هذا الحديث (3 / 70) : لم أجد له أصلا وكذا قال السبكي عبد الوهاب في " الطبقات الكبرى " (4 / 163)
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৭
আত্নার সাথে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দ্বারা সংগ্রাম
২৪৭। তোমরা তোমাদের আত্নার সাথে ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা দ্বারা সংগ্রাম কর। কারণ তাতে সাওয়াব অর্জিত হয়, আল্লাহর পথে জেহাদকারীর সাওয়াবের ন্যায়। এ ছাড়া ক্ষুধা ও তৃষ্ণার চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় কর্ম নেই।
হাদীসটি বাতিল, এটির কোন ভিত্তি নেই।
গাযালী এটিকে “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/৬২) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
جاهدوا أنفسكم بالجوع والعطش، فإن الأجر في ذلك كأجر المجاهد في سبيل الله وإنه ليس من عمل أحب إلى الله من جوع وعطش
باطل لا أصل له
وقد ذكره الغزالي في " الإحياء " (3 / 69) مجزوما برفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم! ولوائح الوضع عليه ظاهرة، وقد قال الحافظ العراقي في تخريجه: لم أجد له أصلا، وكذا قال السبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 62)
جاهدوا أنفسكم بالجوع والعطش، فإن الأجر في ذلك كأجر المجاهد في سبيل الله وإنه ليس من عمل أحب إلى الله من جوع وعطش باطل لا أصل له - وقد ذكره الغزالي في " الإحياء " (3 / 69) مجزوما برفعه إلى النبي صلى الله عليه وسلم! ولوائح الوضع عليه ظاهرة، وقد قال الحافظ العراقي في تخريجه: لم أجد له أصلا، وكذا قال السبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 62)
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৮
কর্মসমূহের সর্দার হচ্ছে ক্ষুধা
২৪৮। কর্মসমূহের সর্দার হচ্ছে ক্ষুধা এবং আত্নার অপমান হচ্ছে পশমী পোষাক।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৯) এবং তাজুস সুবকী “তাবাকাতুল কুবরা” গ্রন্থে (৪/১৬২) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি পাচ্ছি না।
سيد الأعمال الجوع، وذل النفس لباس الصوف
لا أصل له
قال العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 9) والسبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 162) : لم أجد له أصلا
سيد الأعمال الجوع، وذل النفس لباس الصوف لا أصل له - قال العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 9) والسبكي في " الطبقات الكبرى " (4 / 162) : لم أجد له أصلا
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৪৯
চিন্তা হচ্ছে ইবাদতের অর্ধেক
২৪৯। চিন্তা হচ্ছে ইবাদতের অর্ধেক আর অল্প খাদ্য গ্রহণই হচ্ছে ইবাদত।
হাদীসটি বাতিল।
হাফিয ইরাকী “তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (৩/৬৯) বলেনঃ এটির কোন ভিত্তি নেই।
الفكر نصف العبادة، وقلة الطعام هي العبادة
باطل
وقد أفاد العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) أنه لا أصل له
الفكر نصف العبادة، وقلة الطعام هي العبادة باطل - وقد أفاد العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 69) أنه لا أصل له
যঈফ ও জাল হাদিস নং ২৫০
দুপুরের খাবার খেলে রাতের খাবার খেতেন না
২৫০। তিনি যখন দুপুরের খাবার খেতেন, তখন রাতের খাবার খেতেন না। আর যখন রাতের খাবার খেতেন তখন দুপুরের খাবার খেতেন না।
হাদীসটি দুর্বল।
এটি ইবনু বিশরান “আল-আমলী” গ্রন্থে (১/৭৩), আবু নু’য়াইম “আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে (৩/৩২৩), ইবনু আসাকির "আখবারুন লি হিফযিল কুরআন" গ্রন্থের শেষাংশে (কাফ ২/৮) এবং অনুরূপভাবে “আত-তারীখ” গ্রন্থে (১১/৬৫/১) সুলায়মান ইবনু আব্দির রহমান হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। বর্ণনাকারী ওয়াযীন ইবনু আতার হেফযে ক্রটি রয়েছে। এ কারণে হাদীসটি দুর্বল। তাছাড়া হাদীসটি মুরসাল, কারণ আবু সাঈদ-এর সাথে আতার সাক্ষাৎ ঘটেনি।
সতর্কবাণীঃ এ হাদীসটির উৎপত্তি স্থল হাফিয ইরাকী এবং তাজুস-সুবকী উভয়ের নিকট লুক্কায়িতই রয়ে গেছে। এ জন্যে তারা বলেছেন যে, এটি সেই সব হাদীসের অন্তর্ভুক্ত যেগুলো গাযালী “আল-ইহইয়া” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন অথচ সেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। যুবায়দী “ইতহাফুস সাদা” গ্রন্থে (৭/৪০৯) শুধু আবূ নু’য়াইম-এর বর্ণনা দ্বারা তার সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরীত। এটিকে বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে (২/১৫৮/২) আবূ যুহায়ফা হতে মওকুফ হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যার সনদে ওয়ালীদ ইবনু আমর নামক বর্ণনাকারী আছেন, তিনি দুর্বল।
كان إذا تغدى لم يتعش، وإذا تعشى لم يتغد
ضعيف
رواه ابن بشران في " الأمالي " (73 / 1) وأبو نعيم في " الحلية " (3 /323) وابن عساكر في آخر جزء " أخبار لحفظ القرآن " (ق 8 / 2) وكذا في " التاريخ " (11 / 65 / 1) عن سليمان بن عبد الرحمن حدثنا أيوب بن حسان الجرشي حدثنا الوضين بن عطاء عن عطاء بن أبي رباح قال: دعي أبو سعيد الخدري إلى وليمة فرأى صفرة وخضرة فقال: أما تعلمون أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ... الحديث.
قلت: وهذا إسناد ضعيف ورجاله ثقات لكن الوضين بن عطاء سيء الحفظ فهو لهذا ضعيف، ثم إنه مرسل كما هو الظاهر لأن عطاء لم يوصله عن أبي سعيد بمثل قوله: عن أبي سعيد، ونحوه
(تنبيه) هذا الحديث مما خفي مخرجه على الحافظ العراقي ثم التاج السبكي فذكرا أنه من الأحاديث التي أوردها الغزالي في " الإحياء " ولا أصل لها
وتعقبه الزبيدي في " إتحاف السادة " (7 / 409) برواية أبي نعيم فقط! ورواه البيهقي في " الشعب " (2 / 158 / 2) موقوفا على أبي جحيفة، وفيه الوليد بن عمرو بن ساج وهو ضعيف، وتناقض فيه ابن حبان كما بينته في تيسير الانتفاع
যঈফ ও জাল হাদিসের সবগুলো পৃষ্ঠা পড়ুন-
১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ ৩৩ ৩৪ ৩৫ ৩৬ ৩৭ ৩৮
**************************************
সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে সত্য ও ন্যয়ের পথে অন্য ভাইনদেরকে দাওয়াতের নিয়তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে এবং দীন ও মানবতার সেবায় অংশ নিতে OUR ACTION PLAN বাটনে ক্লিক করুন।
মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url