মৃত ব্যাক্তি কখন বুঝতে পারেন যে তিনি মারা গেছেন?





মৃত ব্যাক্তি কখন বুঝতে পারেন যে তিনি মারা গেছেন?

তিনি কিভাবে বুঝতে পারেন যে তারা মারা গেছেন?


 "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!!!"

মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথেই মৃত ব্যক্তি বুঝতে পারে না যে সে মারা গেছে। মৃত্যু পরবর্তী সময়ে আত্মীয় স্বজনের কান্নাকাটি, গোসল, কাফনের কাপড় পরানো- এমন কি তাকে কবরস্থ করা পর্যন্ত  নিজেকে সে মনে করে মৃত্যুর স্বপ্ন দেখছে। তার মনে সবসময় স্বপ্ন দেখার ছাপ থাকে। তখন সে চিৎকার করে কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পায় না।


আমরা জীবনে বহুবার (বোবায় ধরা) স্বপ্ন দেখে থাকি। আমরা কথা বলতে চাই কিন্তু বলতে পারি না, চিৎকার করতে চাই কিন্তু চিৎকার করতে পারি না। পাশের লোকদেরকে ডাকি কিন্তু তারা তা শুনতে পারে না। তখন ভয়ে দম বন্ধ হয়ে আসার অবস্থা হয়। এমন সময় কেউ হয়তো এসে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দেয়। মৃত্যুর পরের অবস্থাটা অনেকটা এরকমই। মৃত ব্যাক্তি সব দেখতে পারেন, আপনজনদের কান্নাকাটি, দাফন-কাফনের আয়োজন সব দেখতে পারেন। কিন্তু সেই বোবায় ধরা স্বপ্নের মত তিনি নিরুপায় হয়ে সব দেখতে থাকেন।

মৃত্যুর শুরু থেকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনাবলীই তিনি দেখতে থাকেন ভয়ঙ্কর স্বপ্নের মত।


পরবর্তীতে, যখন সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মাটির নিচে একা থাকেন, আল্লাহ তার আত্মাকে পুনরুদ্ধার করেন। মৃত ব্যক্তি তার চোখ খোলেন এবং তার "খারাপ স্বপ্ন" থেকে জেগে ওঠেন। প্রথমে তিনি খুশি এবং কৃতজ্ঞ যে তিনি যা দেখেছিলেন তা কেবল একটি দুঃস্বপ্ন ছিল এবং এখন তিনি তার ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। তারপর তিনি তার শরীরকে স্পর্শ করতে শুরু করেন, যা সবেমাত্র একটি কাপড়ে মোড়ানো হয়েছে, অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন-

"আমার জামা কোথায়, আমার অন্তর্বাস কোথায়?"

তারপর তিনি বলতে থাকেন-
“আমি কোথায়, এই জায়গাটি কোথায়, কেনো সর্বত্র ময়লা-কাদার গন্ধ, আমি এখানে কী করছি?”

তারপর তিনি বুঝতে শুরু করেন যে তিনি কবরে আছেন। এবং তিনি যা অনুভব করছেন তা স্বপ্ন নয়! হ্যাঁ, তিনি সত্যিই মারা গেছেন।


তিনি যতটা সম্ভব জোরে চিৎকার করেন, ডাকেন- তার আত্মীয়রা যারা তাকে বাঁচাতে পারে:
“রাজ্জাক..!”
“আব্দুল্লাহ..!”
“খাদিজা....!”
“আয়েশা....!”
“মা, বাবা...!”

কেউ তার উত্তর দেয় না। তখন তার মনে পড়ে যে এই মুহূর্তে আল্লাহই একমাত্র ভরসা। তখন তিনি কাঁদেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন-

"ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, ইয়া আল্লাহ...!!!”

সে এমন এক অবিশ্বাস্য ভয়ে চিৎকার করে যা সে তার জীবদ্দশায় আগে কখনো অনুভব করেনি।


যদি সে একজন নেক মানুষ হয়, তবে হাস্যোজ্জ্বল মুখের দুইজন ফেরেশতা তাকে সান্ত্বনা দিতে আসবেন, তারপর তার সর্বোত্তম সেবা করবেন।

যদি সে খারাপ লোক হয় তবে দুইজন ফেরেশতা তার ভয় বাড়িয়ে দেবেন এবং তার কুৎসিত কাজ অনুযায়ী তাকে নির্যাতন শুরু করবেন।

হে আল্লাহ, আমাদের গুনাহ ক্ষমা করুন। নেক কাজের তৌফিক দান করুন এবং ঈমান নিয়ে পরকালে পাড়ি দেওয়া  নসিব দান করুন। আমিন।।



****************************************
>>> Welcome, You are now on Mohammadia Foundation's Website. Please stay & Tune with us>>>

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • নামহীন
    নামহীন ৩ জুলাই, ২০২৩ এ ১১:৪৩ PM

    উক্ত বক্তব্য কি দলীল ভিত্তিক?
    দলীল ভিত্তিক হলে সেগুলো উল্লেখ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মোহাম্মদীয়া ফাউন্ডেশনের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url